করোনা ভাইরাসের প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ায় বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরে রাখছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ইতিমধ্যে বাজারকে স্থিতিশীল করার নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সার্কিট ব্রেকার আরোপসহ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ায় বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। যদিও পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন থাকবেই, তথাপি বাজারকে গতিশীল করাই বড়ো কথা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরে রাখছেন। প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন যাতে বাজারকে গভীর ও গতিশীল করা যায়। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে তিনি একাধিক আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন। স্টক এক্সচেঞ্জ পরিচালনা বোর্ডের সদস্য, ব্যাংকার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বাজারে নতুন কোম্পানি আনাসহ আনুষঙ্গিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উত্সাহিত করা হচ্ছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আশান্বিত হয়। লাভজনক কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়াসহ বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত উদ্যোগে বাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তার তীক্ষ নজরদারি করছেন।
বাজার সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলেছেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ক্রমাগত শেয়ার বিক্রির চাপ যখন বাড়ছিল, তখন ফোর্সড সেলের কারণে বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। সে অবস্থায় ১৬ মার্চ কিছু সিদ্ধান্ত বাজারে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। বাজার উন্নয়নে এসব পদক্ষেপের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১৩টি ব্যাংক এই তহবিল গঠন করেছে। করোনার কারণে বাজারের স্বাভাবিক কার্যক্রম কয়েক দিন ব্যাহত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে।
শেয়ারবার্তা / আনিস