আসলে পুঁজিবাজার হচ্ছে এখন মামা-ভাগ্নের বাজার। কারণ মামা কিছু একটা করে আর ভাগ্নে অভিমান করে। আবার যখন মামা ভাগ্নের অভিমান কিছু দিয়ে ভেঙে দেয়, তখন ভাগ্নে মামার জয়গান গায়। এখন পুঁজিবাজার এরকম অবস্থানে চলে আসছে। অর্থাৎ এখানে মামা হচ্ছে বিএসইসি আর ভাগ্নে হচ্ছে ডিএসই ও সিএসই। কারণ এ দুটি সংস্থার যে ভূমিকা পালন করার কথা, সেটি না করে মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করছে। হয়তো তাদের জন্য এটি লাভজনক। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়।
মাহমুদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপারসন এসএম সেকিল চৌধুরী এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদ।
এসএম সেকিল চৌধুরী বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা থেকে এর সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন। প্রতিদিন বাজারে পতন হচ্ছে। শেয়ারের দর, সূচক এবং টার্নওভার কমছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা মূলধন হারাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে একসময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এখন বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য নতুন করে মূলধন বিনিয়োগের যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাতে বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরে পাবে না। যদি বাজারের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন বা নতুন নেতৃত্ব আনা যায় এবং বাজারে নীতিগত পরিবর্তন আনা যায়, তাহলে বাজার হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজার এরকমভাবে চলতে থাকলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ব্যাংক, আর্থিক খাত এবং কর্মসংস্থানের ওপর। এখন বাজারের যে অবস্থা তাতে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের চেয়ে আরও বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে কি না, সেটি ভালো করে পর্যালোচনা করা উচিত। তা না হলে আমাদের আরও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। আবার আর্থিক প্রতিবেদন যদি স্বচ্ছ না হয়, তাহলে কোনোদিনই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন না। যারা বাজারে ইকুইটি এনে দিচ্ছেন, তারাই লাভবান হচ্ছেন।
সুলতান মাহমুদ বলেন, পুঁজিবাজার কোথায় ছিল? আর আজকে কোথায় নেমে এসেছে। এখানে নেতৃত্ব ও নীতির সমন্বয়ের বিষয়টিতে অনেক ঘাটতি রয়েছে। আসলে পুঁজিবাজার হচ্ছে এখন মামা-ভাগ্নের বাজার। কেন বলছি, মামা কিছু একটা করে আর ভাগ্নে অভিমান করে। আবার যখন মামা ভাগ্নের অভিমান কিছু দিয়ে ভেঙে দেয়, তখন ভাগ্নে মামার জয়গান গায়। এখন বাজার এরকম অবস্থানে চলে আসছে। অর্থাৎ এখানে মামা হচ্ছে বিএসইসি আর ভাগ্নে হচ্ছে ডিএসই ও সিএসই। কারণ এ দুটি সংস্থার বাজারে যে ভূমিকা পালন করার কথা সেটি না করে মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করছে। হয়তো তাদের জন্য এটি লাভজনক।
শেয়ারবার্তা / ১০ নভেম্বর ২০১৯