বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে যেন নগদ টাকার সঙ্কট না হয় এজন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসাবে ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণ বা সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্ট) এবং রেপো (পুনঃ ক্রয় চুক্তি) সুদহার এবং সিআরআর কমানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক ৬ শতাংশ থেকে দশমিক ২৫ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস করে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। নগদ জমা সংরক্ষণের হার ৫ শতাংশ কমিয়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মনিটরিং পলিসি কমিটির (এমপিসি) ৪৬তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। সভায় বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির ওপরে বিস্তারিত আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক ৬ শতাংশ থেকে দশমিক ২৫ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস করে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হলো। ২৪ মার্চ মঙ্গলবার থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
‘বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণ’ ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিলের সার্কুলার অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের সব তফসিলি ব্যাংককে (শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকসহ) তাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে এবং ন্যূনতম ৫ শতাংশ দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদ জমা (সিআরআর) হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়’।
‘এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে নগদ জমা সংরক্ষণের হার দ্বি-সাপ্তাহিক গড় ভিত্তিতে ৫ শতাংশ এবং দৈনিক ভিত্তিতে ন্যূনতম ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হবে’।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল